• ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, সোমবার ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bay Of Bengal

রাজ্য

বঙ্গোপসাগরে ৮ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ এক

টানা ৩৬ ঘণ্টা লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার মাঝ রাতে বঙ্গোপসাগরে টর্নেডোর মধ্যে পড়ে ডুবে গিয়েছিল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। শেষমেশ কাকদ্বীপের ডুবে যাওয়া ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার ৮ মৎস্যজীবীর দেহ। অন্যদিকে, নিরঞ্জন দাস নামে এখনও এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।এফবি গোবিন্দ নামে ওই ট্রলারে মোট ৯ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। শুক্রবার দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সকলেই। শনিবার সকালে খবর পেয়েই ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের জন্য কাকদ্বীপ থেকে রওনা দিয়েছিল বেশ কয়েকটি ট্রলার। অবশেষে অনেক সমস্যা, বাধা বিপত্তি কাটিয়ে রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধারকাজ

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

রেমাল নামের অর্থ কি? কেন প্রক্রিয়ায় হয় এই নামকরণ?

ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করার জন্য চালু হয়েছিল নামকরণের প্রথা। এই নামের সাহায্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও, বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করতে পারে। নতুন নামই বুঝিয়ে দেয়, এটা আলাদা ঘূর্ণিঝড়। এব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে, প্রস্তুতি নিতে, বিভ্রান্তি দূর করতে নয়া নাম কাজে লাগে। কোনও অঞ্চলের সাইক্লোনিক সিস্টেমই হল ঘূর্ণিঝড়। বিশ্বের সমস্ত জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের একইভাবে নামকরণের রীতি চালু আছে।রেমাল নামের অর্থ কি? আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে। চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটিই হবে প্রথম প্রাক-মৌসুমি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় রেমাল নামের অর্থ- বালি। নামকরণ করেছে ওমান। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের আদর্শ নিয়ম অনুসারে এই নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।এবার ওমান কেন বেছে নিল?কিন্তু, ওমান কেন বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম বেছে নেবে? এই প্রশ্নও উঠেছে। আসলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমও (WMO)-এর সদস্য ১৮৫টি দেশ। এটি রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা। পাশাপাশি রয়েছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন-এসক্যাপ (ESCAP)। এই সংস্থা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে থাকা একটি আঞ্চলিক কমিশন। যা এশিয়ায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য তৈরি হয়েছে। ওমান যার সদস্য।ঘূর্ণিঝড়ের নাম আদৌ কেন?ঘূর্ণিঝড়ের নাম গ্রহণ করা মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ জনগণ ছাড়াও, বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক ইত্যাদিকেও এই নামকরণ সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি বাড়াতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ।২০০০ সালে ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হয়, পিটিসির ২৭তম অধিবেশন। পিটিসি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে রাজি হয়। প্যানেলের প্রতিটি দেশ তাদের সুপারিশ পাঠানোর পর, পিটিসি তার তালিকা তৈরি করে। আর, ২০০৪ সালে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। পিটিসি ২০১৮ সালে, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেনকেও তাদের সংগঠনভুক্ত করেছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে, ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সদস্য ১৩টি দেশের প্রত্যেক সদস্য ১৩টি করে পরামর্শ দিয়েছিল। সেই তালিকা থেকেই বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে।কোন দেশে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, বা আছড়ে পড়বে নামকরণের ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয় না। বরং, দেশগুলোর পরপর নাম অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়। যেমন, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ-র নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। আছড়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্রে। ভারত নাম দিয়েছিল গতি। আছড়ে পড়েছিল সোমালিয়াতে। ইরান নাম দিয়েছিল নিভার। আছড়ে পড়েছিল তামিলনাড়ুতে।

মে ২৬, ২০২৪
রাজ্য

শিয়রে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', সংকেত মৌসম ভবনের

রবিবার সকালে মৌসম ভবন সুত্রে জানানো হয়েছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে অশনি ঘূর্নীঝড়ের আকার নিলো। আন্দামানের অনতিদূরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। এই মুহুর্তে তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই ঘুর্নাবর্ত উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।অশনির সংকেত পেয়ে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাও। মৌসম ভবন থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান করা জেলাগুলির জন্য ১০ থেকে ১৩ মে অবধি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।মৌসম ভবন সুত্রে আগেই জানানো হয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় অশনির পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই। তাঁরা রবিবারও জানিয়েছে, এই মুহুর্তে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি পুরী থেকে প্রায় ১,০৩০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার নাগাদ ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ছুঁতে পারে ঘূর্ণিঝড় অশনি। পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় অশনির আগাম সতর্কতা জারি করেছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া তে কৃষিজমি এবং ফসল নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের জন্য ছদফা সতর্কতা জারি করেছে। নবান্ন থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেনো পাকা ধান কেটে অতি সত্তর গুদামজাত করে রাখেন। এছাড়াও বিভিন্ন সব্জি ও ফসলের ক্ষেত থেকে অতি সত্তর জমা জল নিকাশী করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

মে ০৮, ২০২২
দেশ

মার্চেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট 'অশনী'

বসন্ত নিয়ে বাঙালির যতই রোম্যান্টিকতা থাকুক না কেন, প্রকৃতির কিন্তু সে দিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। রাতে অল্পস্বল্প ঠান্ডা অনুভূত হলেও দিনের বেলায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ। হওয়া অফিস বলছে, কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। গুজরাতের একাধিক অংশ ও পশ্চিম রাজস্থানে তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্থান, বিদর্ভ, কোঙ্কন ও গোয়াতেও তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। এরমধ্যে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছে সপ্তাহজুড়ে একাধিক তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কোঙ্কন-গোয়াতেও তাপ প্রবাহ বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ-সহ একাধিক জায়গাতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি থাকবে।মার্চের শুরু থেকেই কাঠ-ফাটা গরমে হাসফাঁস করতে শুরু করেছেন দেশবাসী। একাধিক রাজ্যে শুরু হয়েছে তাপ প্রবাহ। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে চলেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারত মহাসাগর ও পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। আগামী কয়েকদিনে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান সাগরের উপর থেকে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপরে চলতি বছরের প্রথম নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। এর সরাসরি প্রভাব আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপরই পড়বে। ঝোড়ো হাওয়া-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে অশনী।

মার্চ ১৬, ২০২২
রাজ্য

অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্পের প্রভাবেই সকাল থেকে শুরু বৃষ্টি

আজও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। সকাল থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেই মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শুক্রবার কলকাতা শহর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার যেমন মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন দুপুরের পর থেকে কোথাও কোথাও বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টিপাত হবে। এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। একে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং সঙ্গে পূবালি হাওয়ার সংঘাত। তার জেরেই অসময়ে বৃষ্টি। শনিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।মধ্য ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখাকেই দায়ী করছেন আবহবিদেরা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে সকাল থেকে শহরের কিছু অংশে বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই মহানগরীর আকাশের মুখ ভার। তবে, গত কয়েক দিনের মত ঘন কুয়াশার চাদর ছিল না। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মালদহ, দুই দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি হতে পারে। কাল, শনিবার এবং তার পরের দিন, রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতেও। আবহবিদদের বক্তব্য, অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তা ঘনীভূত হয়ে তৈরি করতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘ। তা থেকেই বৃষ্টি হতে পারে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

Cyclone JAWAD: গভীর নিম্নচাপ হয়েই বাংলায় প্রবেশ জাওয়াদের

শনিবারই শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। রবিবার সকালে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে ওডিশা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী সোমবার ওডিশা উপকূল থেকে নিম্নচাপটি আরও উত্তরপূর্বে সরেছে। এবং ১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে এগোচ্ছে। আগামী ছঘণ্টায় আরও শক্তি ক্ষয় করে নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হবে বাংলার উপকূল।যার জেরে রাত থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। টানা বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক অঞ্চলে জল জমার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।হাওয়া অফিসের জানিয়েছে, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাজ্যের উপকূলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোমবার বিকেল থেকে ধীরে ধীরে হাওয়ার গতি কমবে। মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে বলেই জানিয়েছে তারা।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
রাজ্য

Cyclone Jawad: বাংলায় গভীর নিম্নচাপ হয়েই প্রবেশের সম্ভাবনা জাওয়াদের, জানাল হাওয়া অফিস

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ স্থলভাগের ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি হাওয়া অফিস। তবে, বাংলায় তা ঢুকতে পারে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে। শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের বুলেটিন অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপাগরেই এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ৬ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে সে। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুরী থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ৫ ডিসেম্বর তা পুরী উপকূলে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। এর পর তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তার পরই তা ক্রমশ এগিয়ে আসতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও অবধি মৌসম ভবন যা জানিয়েছে, তাতে গভীর নিম্নচাপ হয়েই জাওয়াদ-এর বঙ্গে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল।বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘণীভূত হওয়ার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ শনিবার সকাল থেকেই মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষিপ্ত থেকে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে কলকাতায়। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
রাজ্য

Weather: আবার হাজির নিম্নচাপ, বাড়ছে তাপমাত্রা, হতে পারে বৃষ্টিও

ফের নিম্নচাপের ভ্রূকুটিতে রাজ্যে বাধা পড়ল শীতের আগমন। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার থেকে রোদ ঝলমলে আকাশ ঢাকতে পারে বিক্ষিপ্ত মেঘে। যে কারণে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। এমনকী রবিবার এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় বিক্ষিপ্ত থেতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। আকাশও থাকবে পরিষ্কারই। তবে তাপমাত্রা বাড়ায় কমতে পারে শীতের অনুভূতি।গত সপ্তাহের শেষের দিকে তামিলনাড়ু উপকূলে ধেয়ে যাওয়া নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকেছিল প্রচুর জলীয় বাস্প। তার জেরে আবহাওয়া ছিল মেঘলা। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিও হয়েছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এ সপ্তাহেও। বঙ্গোপসাগরে ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সেই নিম্নচাপ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা। এর জেরেই প্রচুর জলীয় বাস্প ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তার জেরেই রবি এবং সোমবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

নভেম্বর ২০, ২০২১
রাজ্য

Weather: দুর্যোগ চলবে দিনভর, লক্ষ্মীপুজোতেও রেহাই পাবে না দক্ষিণবঙ্গ

সোমবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৪১.৭ মিলিমিটার। মঙ্গলবারও সারাদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোতেও বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই। বুধবারের পর থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুজোর আগেই আগুন সবজি থেকে ফল, ধরলেই লাগছে ছ্যাঁকাশুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি চলবে এই কদিন। মঙ্গলবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।মঙ্গলবার কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর। অর্থাৎ এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। এই দুই জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বুধবার কলকাতায় ভারী বৃষ্টি না হলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।বৃষ্টি ছাড়াও উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।আলিপুর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওডিশার উপরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার জেরে শক্তিশালী পূবালি হাওয়া ঢুকছে রাজ্যে। ফলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।

অক্টোবর ১৯, ২০২১
রাজ্য

ফুঁসছে বঙ্গোপসাগর, দিঘার ৬২০ কিমি দূরে যশ

আরও এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ। মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১২টায় দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। যশ-এর প্রভাবে সোমবার বিকেল থেকেই রাজ্যের উপকূল এলাকায় ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইবে বলে জানা গিয়েছে।গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে যশ। ঘূর্ণিঝড় যত স্থলভাগের দিকে এগোবে তত তার গতিবেগ বাড়বে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় এই মুহূর্তে ১৬ ডিগ্রি ৪ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯ ডিগ্রি ৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৬২০ কিলোমিটার উত্তরে উত্তর-পশ্চিম, ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব, ওডিশার বালেশ্বর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে যশ।মঙ্গলবার রাতের মধ্যে যশ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর। বুধবার সকালের মধ্যে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশার স্থলভাগের কাছে পৌঁছনোর কথা যশ-এর। তার পর বুধবার সন্ধ্যায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে যশ ওডিশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে বলেই পূর্বাভাস।

মে ২৪, ২০২১

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

অনলাইন অ্যাপের দুনিয়া থেকে মৃত্যু! আদর্শ হত্যায় কলকাতায় হইচই, পুলিশের হাতে বড় তথ্য

কলকাতার কসবা এলাকায় হোটেল ঘিরে রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আদর্শ লোসাল্কার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই সঙ্গী ধ্রুব মিত্র ও কমল সাহাকে। দুজনকেই শনিবার গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্তে তাঁদের ভূমিকাই সবচেয়ে সন্দেহজনক বলে উঠে এসেছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় আদর্শ কসবার ওই হোটেলে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক তরুণী এবং এক যুবক। জানা গিয়েছে, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় আদর্শের। নিজের ফোন থেকেই অ্যাপ ব্যবহার করে হোটেলের চতুর্থ তলার দুটি রুম বুক করেন তিনি। আদর্শ একা নিজের রুমে ঢোকেন, আর অপর রুমে চেক ইন করেন ওই তরুণী ও ধৃত যুবক।পরে তরুণী প্রথমে আদর্শের রুমে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে যোগ দেন অপর যুবকও। পুলিশ সূত্রে মিলেছে, টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে আদর্শের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে আদর্শকে অচেতন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে হোটেল থেকেই সটকে পড়ে দুই সঙ্গী।শনিবার হোটেলের স্টাফরা দরজা না খুলতেই সন্দেহ করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে আছে আদর্শের নিথর শরীর। তাঁর পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। রুম থেকে উদ্ধার হয় অব্যবহৃত কন্ডোম। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে আদর্শকে। রিপোর্টে আরও পাওয়া গেছে, ঘটনার আগে তিনি মদ্যপান করেছিলেন। ধৃতদের জেরায় উঠে এসেছে তাঁরা নাকি ভয় পেয়ে পা বেঁধেছিলেন, যাতে আদর্শ উঠে তাঁদের আক্রমণ না করতে পারেন। তবে পুলিশের মতে, ধৃতদের এই দাবি সম্পূর্ণ সন্দেহজনক এবং প্রত্যেকটি বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো কোনও ব্যান্ড সক্রিয় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের উদ্দেশ্যে নাকি অর্থ বা অন্য কোনও কারণে তাঁদের পরিকল্পনাসেটিও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে।এই রহস্যময় খুনে পুরো শহরজুড়েই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছেঅ্যাপে পরিচয়ের ফাঁদে আরও কেউ কি জড়িয়ে পড়েছেন? তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

‘গোপন চাপ’ ফাঁস করলেন বিএলওরা! ভোটার তালিকায় নাম তুলতে রাজনৈতিক দবাব? চাঞ্চল্য কমিশনে

পরতে-পরতে বাড়ছে বিস্ময়। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক বিএলও-র মৃত্যু, আর তার মাঝেই সামনে এলো অন্য এক অভিযোগযে চাপের কথা এতদিন কেউ খোলাখুলি বলছিলেন না, সেই গোপন চাপ-এর অভিযোগ তুললেন বিএলও ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নয়, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দোরগোড়ায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে উঠে এল এই বিস্ফোরক অভিযোগ।স্বপন মণ্ডল জানান, কমিশনের প্রশাসনিক চাপ, ডেডলাইন, ডেটা এন্ট্রিএসবের বাইরে আরও এক অদৃশ্য চাপ চেপে বসেছে জেলার পর জেলা। মালদহ থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, কিছু ব্যক্তি বাবা বা ঠাকুমার পরিচয় দেখিয়ে একসঙ্গে চারপাঁচজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য বিএলওদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের সঙ্গে ২০০২ সালের তালিকাভুক্ত ব্যক্তির কোনও প্রকৃত সম্পর্কই নেই। কারা সেই মানুষ? কেনই বা এমনভাবে তালিকা ভরানোর চেষ্টা? স্বপনবাবু সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর ইঙ্গিত, রাজনৈতিক চাপ যে রয়েছে, তা স্পষ্ট। আরও বড় অভিযোগএই কাজে নাকি কিছু ERO-ও পরোক্ষে জড়িত।কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ফর্মে কোনও ভুল হলে দায় যাবে সরাসরি বিএলওদের ঘাড়েই। ফলে একদিকে কমিশনের কড়াকড়ি, অন্যদিকে অদৃশ্য চাপমাঝখানে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রাম-শহরের মাঠে নেমে থাকা হাজার হাজার বুথ লেভেল অফিসার। তাই বিএলওদের দাবি, ফর্ম আপলোডের আগে অ্যাপেই একটি রিমার্কস কলাম রাখতে হবে, যেখানে তারা সন্দেহ বা আপত্তি লিখে রাখতে পারবেন। সিইও দফতর নাকি এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছে।রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর আতঙ্কে তিন বিএলও-র অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র ক্ষোভ। এর মধ্যেই আবার উঠল রাজনৈতিক চাপ-এর অভিযোগ। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে দুলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেও স্বপন মণ্ডল তা সরাসরি ভিক্ষা বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবিএ রকম চাপের মধ্যে কাজ করলে আরও মৃত্যু অনিবার্য। উপরন্তু ERO-রা অহেতুক ২৫ তারিখের ডেডলাইন চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে বলেও সরব তিনি।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছেএসআইআর কি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করছে, নাকি উল্টে প্রশাসনিক-রাজনৈতিক চাপে ক্লান্ত সাধারণ শিক্ষকদের জীবনই বিপন্ন করে তুলছে? বিএলওদের দাবি, এইভাবে চাপের মধ্যে কাজ চললে, তালিকার ভুল যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

“৪ রাত ঘুমোননি, ফোনে ফোনে হুমকি”—এসআইআরের অতিরিক্ত চাপে প্রাণ গেল দুই স্কুলশিক্ষকের

মধ্যপ্রদেশে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুই স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুজনই বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসাবে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। পরিবার ও সহকর্মীদের অভিযোগঅতিরিক্ত কাজের চাপ, অমানবিক ডেডলাইন এবং বারবার সাসপেন্ড করার ভয় দেখানোই মৃত্যুর মূল কারণ। বাংলায় যেভাবে এসআইআর-এর আতঙ্ক ছড়িয়েছে, ঠিক তেমনই পরিস্থিতি এবার মধ্যপ্রদেশেও তৈরি হয়েছে।রাইসেন জেলার বাসিন্দা রমাকান্ত পান্ডে মন্দিদীপ এলাকায় বিএলও হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী রেখা পান্ডে জানিয়েছেন, গত চার রাত রমাকান্ত একটুও ঘুমোননি। ফোনে ফোনে এসআইআরের কাজ নিয়ে তাগাদা, ডেডলাইন মেটানোর চাপ এবং সাসপেন্ড হওয়ার আতঙ্কে তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে একটি অনলাইন মিটিং চলাকালীন আচমকাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। আর ওঠেননি।এর ঠিক এক দিন পর, দামোহ জেলার সীতারাম গোন্দ (৫০)-র মৃত্যু হয়। তিনি রঞ্জরা ও কুড়াকুড়ান গ্রামে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জব্বলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয়। তাঁর সহকর্মীরা জানান, প্রায় ১৩০০ জন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করে আপলোড করতে হত তাঁকে, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি।এর আগেও মধ্যপ্রদেশের আরেক শিক্ষক ভুবন সিং চৌহানের মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও BLO ছিলেন এবং কিছুদিন আগে দায়িত্বে ত্রুটির অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। পরিবার অভিযোগ করে, এসআইআরের কাজের চাপই তাঁর মৃত্যু ডেকে এনেছে।এই ঘটনাগুলি সামনে আসতেই শিক্ষক মহলে ক্ষোভ বেড়েছে। বাংলায় ইতিমধ্যেই একাধিক BLO-র মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, BLO-দের উপর অতিরিক্ত চাপ বন্ধ করতে হবে। ঠিক একই অভিযোগ এবার মধ্যপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে।এসআইআর সংক্রান্ত কাজ দেশজুড়ে কী পরিস্থিতি তৈরি করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ডেডলাইন, স্ট্রেস, ভয় এবং অনবরত চাপসব মিলিয়ে BLO-দের উপর যে মানসিক ও শারীরিক প্রভাব পড়ছে, তারই করুণ পরিণতি তুলে ধরল মধ্যপ্রদেশের দুটি মৃত্যু।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

বিমানবন্দরের মাথার ওপর ঘোরাফেরা ড্রোন, মুহূর্তে বন্ধ সব ফ্লাইট! তদন্তে সেনা-পুলিশ

নেদারল্যান্ডসের আইন্দহোভেন বিমানবন্দরে হঠাৎ করেই দেখা মিলল একাধিক ড্রোনের। আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে যেতেই মুহূর্তে থমকে গেল বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ বিমান চলাচল। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ নেদারল্যান্ডসের ব্যস্ত এই বিমানবন্দরে ড্রোন দেখা যাওয়ার পরেই চরম সতর্কতা জারি করা হয়। পরিস্থিতি যে কতটা গুরুতর ছিল, তা বোঝা যায় ডাচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলমান্সের বিবৃতি থেকে। তিনি এক্স-এ জানান, ডিফেন্স কাউন্টার-ড্রোন ইউনিট, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই এলাকায় মোতায়েন হয়েছে এবং যে কোনও মুহূর্তে হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।আইন্দহোভেন বিমানবন্দরটি সাধারণ যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও সামরিক উড়ানের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। সেই কারণেই ড্রোনের উপস্থিতিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, ঠিক কোথা থেকে এবং কী উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলি উড়ছিল। তার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়।এর আগের দিনও একই ধরনের ড্রোন দেখা গিয়েছিল ভলকেল এয়ারবেসের আকাশে। সেই সময় ডাচ সেনা সরাসরি গুলি চালিয়ে ড্রোন নামানোর চেষ্টা করে। ফলে টানা দুই দিন ধরে ড্রোন দেখা যাওয়ায় বিষয়টি আরও রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। শুধু নেদারল্যান্ডস নয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহে ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশে বিমান চলাচলে ড্রোনের কারণে বিঘ্ন ঘটে। ডেনমার্ক, নরওয়েসহ একাধিক দেশের বিমানবন্দরেও এমন ঘটনা ন্যাটোকে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে।এটিই প্রথম নয়। এ বছরের সেপ্টেম্বরেই পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার আকাশে রুশ ড্রোন আটক করা হয়েছিল। এমনকি তিনটি রুশ যুদ্ধবিমান এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় ন্যাটোর সতর্কবার্তা আরও জোরালো হয়। ফলে আইন্দহোভেনের এই ঘটনা সেই আশঙ্কাকে আরও ঘনীভূত করছে।যদিও ড্রোন দেখা গেলেই বিমানবন্দর বন্ধ করতে হয়, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোন দেখা গেলে বিমান ওঠা-নামা সাময়িক বন্ধ রেখে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়, যাতে কোনও সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানো যায়। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি হলেও, সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।এখন তদন্তের মূল লক্ষ্যএই ড্রোনগুলি কি শুধুই সাধারণ ব্যক্তি বা গ্রুপের অপকর্ম, নাকি এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার বড় কোনও চক্র? ডাচ প্রশাসন ও সেনা এখন সেই সম্ভাবনাই সব দিক থেকে খতিয়ে দেখছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

তুরস্ক-যোগ, কাতার-যোগ—হামাসের ‘আন্তর্জাতিক জাল’ ভাঙার দাবি মোসাদের

ইউরোপ জুড়ে হামাসের গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করল ইসরায়েলের গোপনচর সংস্থা মোসাদ। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জটিল ও সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে এই জঙ্গি কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রিয়া-সহ একাধিক দেশে অভিযানের ফলে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি-সহযোগী এবং উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। মোসাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি ইসরায়েল এবং ইউরোপে অবস্থিত ইহুদি সংগঠনগুলির উপর হামলা চালানোর জন্যই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। নির্দেশ পেলেই হামলার প্রস্তুতি ছিল বলেই মনে করছে ইসরায়েল।অভিযোগ, হামাসের ইউরোপের নেটওয়ার্ক তৈরিতে তুরস্কের কিছু সদস্যও ভূমিকা নিয়েছিল। তাদের মাধ্যমে পরিকল্পিত হামলার সূত্র মিলেছে। শুধু তাই নয়, কাতারে থাকা হামাস নেতৃত্বও ইউরোপের জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্তএমন দাবি করেছে মোসাদ।অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ অভিযানে বড় সাফল্য মেলে। সেখানে লুকিয়ে রাখা ছিল বিস্ফোরক, হ্যান্ডগান-সহ একাধিক অস্ত্র। তদন্তে উঠে আসে, এই অস্ত্রগুলি ছিল হামাস সদস্য মোহাম্মদ নাইমের। তিনি হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইমের ছেলে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলের যৌথ নির্দেশেই ইউরোপে তৈরি হচ্ছিল গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক। কাতারে তাদের বৈঠকের তথ্যও পেয়েছে তদন্তকারীরা।মোসাদের দাবি, ৭ অক্টোবর গাজায় হামলার পর থেকেই হামাস নতুন করে ইউরোপ-সহ বিভিন্ন দেশে জঙ্গি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লাগে। ইরান ও ইরানপন্থী সংগঠনগুলির মতোই ইউরোপে সেল তৈরি, সদস্য সংগ্রহ এবং অস্ত্র মজুতের কাজ চলছিল বহুদিন ধরেই। বহুবার অস্বীকার করলেও, কাতার-নির্ভর হামাস নেতৃত্বের সন্ত্রাসে জড়িত থাকার প্রমাণ আগেও মিলেছে বলে দাবি ইস্রায়েলের।বর্তমানে বহু দেশের যৌথ তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছে, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং তুরস্ক-সহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে হামাসের আর কে কে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
কলকাতা

হোটেল রুমে যুবকের দেহ, সঙ্গে কন্ডোম! খুনের পর টাকাও উধাও? তদন্তে দগ্ধ লালবাজার

কসবাকাণ্ডের তদন্ত আরও জটিল আকার নিচ্ছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগে অনলাইনে বুক করা হয়েছিল দুটি ঘর। মৃত যুবক আদর্শ লোসালকাকে যেভাবে পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে তদন্তকারীদের অনুমানতাকে নির্মমভাবে খুনের পর দেহ সরানো হয়েছে। ঘরের মেঝেতে খাটের ঠিক নিচে উল্টে পড়ে ছিল তার দেহ। পা বাঁধা ছিল তোয়ালে দিয়ে। মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন।বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ৩৩ বছরের আদর্শ শুক্রবার রাতেই কসবার হোটেলে ঢুকেছিলেন তিনজনের সঙ্গে। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলে ছিলেন এক মহিলা ও দুই পুরুষ। ভোরবেলা মহিলা এবং এক ব্যক্তি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে কর্মীরা দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে কন্ডোম। যা দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের পিছনে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা আর্থিক বিরোধদুটোই সমান ভাবে সম্ভব।হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা আধার কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু কার্ডগুলি আসল কি না, তা এখন যাচাই করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, খুনের পর আদর্শের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেলের দুই পুরনো কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।অক্টোবরের শেষ দিকেই পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে বক্স খাটের ভেতর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গেও অদ্ভুত মিল নিয়ে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। সেদিনও তিন যুবক রুম নিয়েছিলেন, পরে দুজন পালিয়ে যান। এবার আর এক হোটেল থেকে মিলল যুবকের দেহ। তদন্তকারীদের মতে, দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। কসবার এই মৃত্যু এখন শহরজুড়ে নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

উত্তর প্রদেশে ‘অপারেশন ডিটেনশন’! যোগীর কড়া নির্দেশ—একটিও অনুপ্রবেশকারী রেহাই নয়

উত্তর প্রদেশে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার অভূতপূর্ব কড়াকড়ি শুরু করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেনরাজ্যে বেআইনিভাবে থাকা কোনও ভিনদেশি নাগরিক বা অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লে তাকে আর খোলা সমাজে রাখা যাবে না। সঙ্গে-সঙ্গে পাঠাতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি জেলাকেই অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।যোগীর বক্তব্য, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করা রাজ্য সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বেআইনি কাজ বা অনুপ্রবেশ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর স্পষ্ট বার্তাযে কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে।রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলার প্রশাসনকে দ্রুত এলাকার বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ধরা পড়লে তাদের আগে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর পরিচয় যাচাইয়ের পর আইনানুগভাবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই জেলাশাসকরা নড়েচড়ে বসেছেন। তাঁদের মন্তব্য, অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই সরাসরি ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে এবং ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ডিটেক্ট অ্যান্ড ডিপোর্ট-এর কথা বলেছিলেন। অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করতে সারাদেশে কঠোর নীতি নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পথেই হেঁটে উত্তর প্রদেশে প্রতিটি জেলায় ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও শক্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

স্কুলে পড়ুয়াদের কয়েক কদম দূরেই ২০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার! কী পরিকল্পনা ছিল

জম্মু-কাশ্মীর ও দিল্লির পর এবার পাহাড়ে নাশকতার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলার সুল্ত এলাকায় একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পাশের ঝোপে ১৬১টি জিলেটিন স্টিক ও বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মোট ২০ কেজিরও বেশি বিস্ফোরক কোথা থেকে এল, কারা এনে লুকিয়ে রাখলতা নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড ও গোয়েন্দারা। জেলার প্রশাসন ইতিমধ্যেই অ্যালার্ট জারি করেছে।স্কুলের প্রিন্সিপাল সুভাষ সিং প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করেন। ঝোপে সন্দেহজনক কয়েকটি প্যাকেট দেখে তিনি কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সরাসরি পুলিশে ফোন করেন। মুহূর্তের মধ্যে দুটি পুলিশ টিম স্কুলঘেরা এলাকা কর্ডন করে। তৎক্ষণাৎ ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়। পুলিশ কুকুরই সবচেয়ে আগে ঝোপ থেকে জিলেটিন স্টিকের উপস্থিতি টের পায়। আরও ২০ মিটার দূর থেকে মিলেছে বিস্ফোরকভর্তি আরও কয়েকটি প্যাকেট। পরে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড সেগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়।সাম্প্রতিক দিনে ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরকে ভরা প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় আরও উদ্বেগ বেড়েছে। এর আগে হরিয়ানার ধাউজ গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছিল, যা দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল। ফলে পাহাড়ে মিলল এই বিস্ফোরকএমন তথ্য গোয়েন্দাদের আরও সতর্ক করে তুলেছে।জিলেটিন স্টিক সাধারণত পাহাড়ে পাথর ভাঙতে বা খনিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু স্কুলের পাশে, সে-ও আবার ঘন ঝোপে লুকিয়ে থাকা এত বিপুল বিস্ফোরকের উপস্থিতি সন্দেহকে আরও গভীর করছে। চারটি বিশেষ তদন্তকারী টিম তৈরি করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেকোথা থেকে আসল এই বিস্ফোরক, কারা নিয়ে এল, এর লক্ষ্য ছিল কোন জায়গা, এবং বড়সড় নাশকতার ছক কি সত্যিই তৈরি হচ্ছিল।এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা আলমোড়া জেলায়। পাহাড়ে জঙ্গি-মদতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal